কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর যাও পাওয়া যাচ্ছে, মজুরি অধিক হওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। যে কারণে কেউ কেউ চাষাবাদে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। এ থেকে উত্তোরণের জন্য আধুনিক কৃষিযন্ত্রপাতি ব্যবহারের বিকল্প নেই। এতে শ্রম, সময় ও অর্থ সাশ্রয় হয়। শস্যের অপচয়ও হ্রাস পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশংকা থাকলে অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মাঠ হতে ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব। আসলে কৃষি যন্ত্রপাতি চাষির আশীর্বাদ। গত ২৮ নভেম্বর বরিশালের বাবুগঞ্জের বাহেরচরে রিপার বাইন্ডারের সাহায্যে ধান কতর্নের ওপর কৃষক মাঠদিবসে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপজেলা কৃষি অফিসার মোসাম্মৎ মরিয়ম এসব কথা বলেন।
সিমিট বাংলাদেশ এবং সিসা-এমআই যৌথ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান। আদর্শ চাষি মতিউর রহমান কালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মুশিয়েল আলী খান, কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা নাহিদ বিন রফিক, সিমিট বাংলাদেশের হাব ম্যানেজার হীরা লাল নাথ, কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, মো. আমিরুল ইসলাম, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান , নার্গিস আক্তার লিপি, উম্মে হাবিবা প্রমুখ।
সিমিট বাংলাদেশের উদ্যোগে চীন থেকে সদ্য আমদানিকৃত রিপার বাইন্ডার বরিশাল ও ফরিদপুর অঞ্চলে পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আঁটি বাধাসহ ৫ একর জমির ধান কাটা যাবে ৮ ঘন্টায়। মেশিন ভাড়া বাদে খরচ পড়বে মাত্র ১ হাজার টাকা। অথচ সমপরিমাণ জমিতে এ কাজের জন্য ৩০ জন শ্রমিকের ব্যয় হবে ১৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্যসহ শতাধিক কৃষাণ- কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।